বুধবার (১৮ মে) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর বিচার মো. হেমায়েত উদ্দিন এ আদেশ দেন।
মামলার অপর দুই আসামি হলেন- নাসিরের দুই সহযোগী তুহিন সিদ্দিকী অমি ও শাহ শহীদুল আলম।
এদিন আদালত অভিযোগ পড়ে শোনালে আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। এর আগে মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে তাদের করা পৃথক আবেদন খারিজ করে দেন ট্রাইব্যুনাল।
গত বছরের ১৪ জুন ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টার অভিযোগে নাসিরসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে সাভার থানায় মামলা করেছিলেন শামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে পরীমণি। মামলায় মরীমণি দাবি করেন, নাসির এবং অমি ৮ জুন রাতে ঢাকা বোট ক্লাবে যাওয়ার পর সময় ধর্ষণ ও হত্যা করতে চেয়েছিলেন।
মামলা দায়েরের পরপরই অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন নাসির এবং অমিকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়। রাজধানীর উত্তরা থেকে তাদের গ্রেপ্তারের সময় বিপুল পরিমাণ মদ ও ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে পুলিশ। পরে, নাসির ও অমির বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় একটি মাদক মামলা দায়ের করা হয়। পরে গত ৬ সেপ্টেম্বর পরীমণির দায়ের করা মামলায় তাদের বিরুদ্ধে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।
এতে উত্তরা ক্লাব লিমিটেডের সাবেক সভাপতি নাসির ইউ মাহমুদ ও তার সহযোগী তুহিন সিদ্দিকী অমিসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। প্রাথমিক তথ্য বিবরণীতে (এফআইআর) শাহ শহীদুল আলমের নাম না থাকলেও তদন্তের সময় সম্পৃক্ততা পাওয়ায় পুলিশ অভিযোগপত্রে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করে।
সে সময় তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) মাধ্যমে পুনর্তদন্তের আবেদন জানান পরীমণি।
তার আবেদনপত্রে উল্লেখ করা হয়, তদন্তকারী কর্মকর্তা সঠিক ও সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করেননি। ওই হোটেলের একজন ওয়েটার ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে অভিযুক্ত ছিল। ঘটনার পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তাকে তুলে আনে এবং তিনি তার অপরাধ স্বীকার করেন। পুলিশের জমা দেওয়া অভিপত্রে তাকে আসামি করা হয়নি। এমনকি তার নামই অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়নি। বাদীপক্ষের সাক্ষী বহ্নির নাম অভিযোগপত্রে রাখা হয়নি এবং তাকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদও করেনি। যে কারণে এই মামলার পুনর্তদন্ত হওয়ার প্রয়োজন।